চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :: কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলায় নারায়ণগঞ্জ থেকে লবণ বিক্রি করে গোপনে ফেরা (মাঝি, মাল্লা ও শ্রমিক) ৪৫ জন ও তাবলীগ জামায়াত থেকে ফেরা ৫ জনকে চিহ্নিত করে মোট ৫০ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ।
এদের অনেকেই সরকারি নির্দেশনা না মেনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় অবাধে ঘোরাফেরা করছেন বলে অভিযোগ ছিলো। আর তাতে আতঙ্কে ছিলো এলাকার সাধারণ লোকজন।
অবশেষে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ আজ তাদের নির্দেশ মানতে বাধ্য করিয়ে প্রত্যেককে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি মো. দিদারুল ফেরদৌস।
জানা যায়, অনেক আগে থেকেই দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় প্রশাসনের উদ্যোগে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সব জায়গায় মাইকিং করিয়ে সর্তকতা জারি করেন। পাশাপাশি কুতুবদিয়াকে করোনা মুক্ত রাখতে রাতদিন কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কুতুবদিয়া থানা পুলিশ। ত্রাণ কার্যক্রম, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চতসহ ভয়ংকর করোনা রুখতে সমগ্র উপকূলে রাতভর পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। এরই মধ্যে নারায়নগঞ্জ থেকে লবণ বিক্রি করে ফেরা ৪৫ জন ও ৫ জন তাবলীগ জামায়াতের চিল্লা শেষ করে গোপনে কুতুবদিয়ায় ফিরেন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ নৌকার মাঝিমাল্লাদের রাতভর পাহারা দিয়ে অবশেষে তাদের আয়ত্বে এনে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে সক্ষম হন।
এদিকে পুরো কক্সবাজারবাসী যখন নারায়ণগঞ্জ নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তখনই এই কান্ডটা ঘটালেন। কিন্তু কুতুবদিয়া থানা পুলিশের তৎপরতায় কুতুবদিয়ার লোকজনের মাঝেেএখনো করোনা খবর পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে তারা এখনো নিরাপদে রয়েছেন।
ওসি মো. দিদারুল ফেরদৌস বলেন, গতকাল ভোর রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে মাঝি মাল্লারা লবণ খালাস করে কুতুবদিয়া উপকূলে ফিরে আসার খবর পেয়ে রাতভর এসআই জয়নাল ও সঙ্গীয় ফোর্স পাহারায় থেকে নৌকার ৮ জন মাঝিমাল্লাদের পুলিশের হেফাজতে আনেন। পরে সকাল ১১টায় তাদের সবাইকে একত্রিত করে অপ্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি অারো জানান, এ পর্যন্ত কুতুবদিয়া থানা পুলিশ ১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন ও ৫৮ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছেন। তারাই সবাই কুতুবদিয়া উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন।
পাঠকের মতামত: